আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি-জামায়াত এবারো ব্যর্থ হয়েছে। বারবার তারা নির্বাচন বর্জন করে। তাই আগামী পাঁচ বছর অপেক্ষা করা ছাড়া তাদের করণীয় কিছু নেই। আজ তাদের সব অভিযোগ বাস্তবতাবিবর্জিত, ভিত্তিহীন। সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যাচার করে বক্তব্য দিয়েছে। প্রতিনিয়ত এমন মিথ্যাচার তাদের করুণ পরিণতির জন্য দায়ী।’ রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে গতকাল আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জনগণের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে দেশ পরিচালনা করব। আমাদের ইশতেহারে দেয়া ওয়াদা অক্ষরে অক্ষরে বাস্তবায়ন করব। আগামী বাংলাদেশ হবে “স্মার্ট ও সমৃদ্ধ”। এ নির্বাচন দেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় মাইলফলক হয়ে থাকবে। টানা চতুর্থবার ও পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। ভারত, রাশিয়া, চীন, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, শ্রীলংকার রাষ্ট্রদূতরা শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে অভিনন্দন জানিয়েছেন।’
সংসদে বিরোধী দল কে হবে—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘লিডার অব দ্য হাউজ অর্থাৎ যিনি নতুন প্রধানমন্ত্রী হবেন, তিনিই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।’ উৎসবমুখর, অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক পরিবেশে নির্বাচন হয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে এবং একাত্তরের পরাজিত শক্তির বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে। আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে নির্বিচারে মানব হত্যা, বাংলাদেশ-বিরোধী স্বার্থান্বেষী মহলের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জনগণ রায় দিয়েছে। উন্নয়নের নেত্রী শেখ হাসিনা জনতার এ বিশাল রায়ের প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল। তিনি এ রায়ের প্রতিদান নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতিকে অবশ্যই উপহার দেবেন।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুনর্বার প্রমাণ করেছেন একটি নির্বাচিত সরকারের অধীনে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন কার্যকর থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া সম্ভব। এ দেশের সংবিধান অনুযায়ী একটি নির্বাচিত সরকার আরেকটি নির্বাচিত সরকারের অধীনে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। আমরা সেভাবেই নতুন সরকার গঠন করতে যাচ্ছি।’ দেশে-বিদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সংস্থা, গণমাধ্যমসহ বিদেশী সাংবাদিক-পর্যবেক্ষক সবাই নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন বলে জানান ওবায়দুল কাদের।