গাজায় আটক পণবন্দিদের মুক্ত করাসহ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবিতে গতকাল রোববার (৩১ মার্চ) পরপর দ্বিতীয় রাতের মতো গণবিক্ষোভে অংশ নিয়েছে হাজার হাজার ইসরায়েলি নাগরিক।
বিক্ষোভকারীরা এ সময় জেরুজালেমের প্রধান সড়কে অবস্থান নেয়। এছাড়া মশাল জ্বালিয়ে ও ইসরায়েলের পতাকা উড়িয়ে প্রতিবাদে অংশ নেয় তারা। ‘নেতানিয়াহুকে যেতে হবে’ শ্লোগান দিতে থাকা বিক্ষোভকারীদের দমন করতে পুলিশকে এ সময় জলকামান ব্যবহার করতে দেখা যায়। বিক্ষোভকারীরা দাবি করছেন জেরুজালেমের প্রতিবাদ গত অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সবচেয়ে বড় জমায়েত।
বিক্ষোভকারীরা আরও জানিয়েছেন, পণবন্দিদের মুক্ত করে দেশে নিয়ে আসতে প্রতি রাতে তারা একত্রিত হবেন। শনিবারও ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় শহর তেল আবিবে বিক্ষোভকরীদের অবস্থানের কারণে শহরটির প্রধান মোটরওয়ে দুই ঘণ্টার জন্য বন্ধ হয়ে যায়।
দুই রাতেই বিক্ষোভে অংশ নেওয়া তেল আবিবের ডানা রাবফোগেল শর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নেতানিয়াহু যেভাবে দেশ চালাচ্ছেন তার প্রতিবাদেই এই বিক্ষোভ ও অবস্থান। তিনি বলেন, ‘জনগণ ক্লান্ত। তারা নির্বাচন চায়।’
হামাসের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে অনেক বিক্ষোভকারীকে এ সময় নেতানিয়াহুর রক্ত মাখানো মুখের ছবি সম্বলিত প্লেকার্ড বহন করতে দেখা যায়। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীকে সবকিছুর জন্য দায়ী করে প্রতিবাদে অংশ নেওয়া লোকজন অতিদ্রুত দেশে নির্বাচনের দাবি জানান।
সম্প্রতি হার্নিয়া অপারেশন করা হয় নেতানিয়াহুর শরীরে। তবে তার আগে থেকেও এমনি কি যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে থেকেও বিচার বিভাগ সংস্কারের বিরুদ্ধে রাজপথে প্রতিবাদ প্রকাশ করছে ইসরায়েলিরা।
গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের যোদ্ধারা ২৫০ জন ইসরায়েলিকে জিম্মি করে। এদের মধ্যে এখনও ১৩০ জন গাজায় আটক রয়েছে বলে জানিয়ে আসছে ইসরায়েল। সে সময় হামাসের হামলায় ইসরায়েলে এক হাজার ১৬০ জন নিহত হয়।
ইসরায়েলের পাল্টা হামলায় এ পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় ৩২ হাজার ৭৪২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নিরীহ শিশু ও নারী বলে জানিয়েছে হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।