শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিষয়ে তার কিছু করার নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরদিন সোমবার সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। বিকালে গণভবনে এ মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বিদেশি এক সাংবাদিক প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চান, তার এই বিজয় উদযাপনের সময় তিনি কি ড. ইউনূসকে ক্ষমার বিষয়টি বিবেচনা করবেন কিনা?
এর জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউনূসের বিষয়টা শ্রম আদালতের। তার নিজের প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা বঞ্চিত এবং তারা মামলা করেছেন। তিনি শ্রম আইন ভঙ্গ করেছেন, নিজের কর্মীদের বঞ্চিত করেছেন। এখানে আমার কিছু করার নেই। তার ক্ষমার বিষয়ের প্রশ্ন আমার কাছে আসে না। বরং তার উচিত নিজের কর্মীদের কাছে ক্ষমা চাওয়া।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় গত ১ জানুয়ারি গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত। পাশাপাশি সবাইকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, আসামিপক্ষ এক নম্বর আসামির বিষয়ে প্রশংসা সূচক বক্তব্য উপস্থাপন করেন। যেখানে তাকে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই করা নোবেল জয়ী আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব বলে উল্লেখ করেন। কিন্তু এই আদালত নোবেল জয়ী ইউনূসের বিচার হচ্ছে না, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান হিসেবে তার বিচার হচ্ছে।
এ মামলার অভিযোগের মধ্যে প্রধান হলো অনিয়মের মাধ্যমে শ্রমিক কর্মচারীদের মধ্যে বণ্টনের জন্য সংরক্ষিত লভ্যাংশের পাঁচ শতাংশ না দেওয়া এবং ১০১ জন শ্রমিকের চাকরি স্থায়ী না করা।
এছাড়া গণছুটি না দেওয়া, শ্রমিকদের কল্যাণ তহবিল ও অংশগ্রহণ তহবিল গঠন না করাও অন্যতম অভিযোগ এ মামলার।